স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যে মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে সেই মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ সেই ২ কোটি টাকা থেকে একটি টাকাও উঠানো হয়নি। সেই টাকা এখন সুদে আসলে ৬কোটি হয়েছে। এই সরকার বিএনপিকে ভয় পায়, খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল কাহের শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান মো: শাজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার,শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আবার ২৯ ডিসেম্বর রাতে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। সেজন্য এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার লুটেরাদের সরকার, ডাকাতদের সরকার, চাঁদাবাজদের সরকার। চাঁদাবাজি করে দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যাংক লুট করেছে। চাঁদাবাজি লুটতরাজ এমন পর্যায়ে পৌছেছে। গত সাতদিনে যে ঘটনা সরকারের ভেতর থেকে কালো বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদকের বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এফডিআর ১৬৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া এধরণের ক্যাসিনো জুয়া চলতে পারে না। আমরা তাদের নাম জানতে চাই। তিনি আরো বলেন, আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এক সুতায় গাঁথা। আসুন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এক সঙ্গে আন্দোলন করি।
উল্লেখ্য, নানা নাটকিয়তার পর মঙ্গলবার সকালে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি পায় বিএনপি। এর আগে রাতে সভা মঞ্চ খুলে নেয়া হয়েছিল। পরে অনুমতি পাওয়ায় সকালে ফের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।